....নারী....
হে নারী-
তুমি কাঁদছো,তুমি কেঁদোনা -
তোমার দুচোখের নোনা জলের মূল্য কেউ দেবেনা,
পৃথিবীতে আবেগ দিয়ে জীবন চলেনা।
হে নারী-
বাস্তবাদী হও ,চোখের পানি মুছে ফেলো
সব কিছু ভুলে হাসতে শিখো, হাসাতে শেখাও
কিছু লোক তোমাকে কষ্ট দেবে-
পারলে নতুন আরো কিছু দুঃখ দেবে,
সবাই কত যে,নিঃষ্টুর,নির্মম-তোমার মতো
এতটা সহজ সরল ও সাবলীল নয়।
হে নারী-
তুমি যে দিকে তাকাবে শুধু দেখতে পাবে
প্রতারনার ফাঁদ,আত্মসাধের থাবা-
আর অপমান ও গ্লানি নিয়ে তোমাকেই চলতে হবে
তোমাকে পৃথিবীটা দেখতে হবে তোমার মতো করে
বেঁচে থাকতে হবে তোমার চেষ্টায়।
একটা সময় তোমার সব কিছু নিয়ে তোমাকে
নিঃশ্ব করে ছুরে দিবে অজানা দিগন্তে,
নিঃষ্টুর পৃথিবীর কিছু নির্মম মানুষের সাথে
তোমাকেই যুদ্ধ করতে হবে তোমার নিজশ্ব কৌশলে
হে নারী-
সবাই ভালবাসার অভিনয় জানে-
কেউ ভুল করেও এর র্মমবাণী বুঝতে চাইনা,
সেখানে তুমি কেন আবেগকে প্রশয় দিবে-
ফলে তুমি কষ্ট পাবে,শুধুই কষ্ট পাবে।
হে নারী -
তুমি প্রতিজ্ঞা কর,পিছনের দিন গুলো মনে করবেনা,
মনে করবেনা তোমার সংসার,তোমার সন্তান,তোমার স্বামী-
ভাববে তোমার কেউ নেই-তুমি একা একদম একা।
হে নারী -
তুমি ভাবতে শেখো ,তুমি প্রথম রমনী এই ধরনীর বুকে
নয়তো ভাবো মহাকালের মহাদুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসের-
নিঃষ্টুরতায় সব ছিনিয়ে নিয়েছে,
তোমার বলতে আর কোন কিছু অবশিষ্ট নেই।
হে নারী -
তাই তোমাকে বাঁচতে হবে বাঁচার মতো করে বাঁচতে হবে
ভুলে যাও তোমার সমস্ত স্মৃতি -
সন্তানের মা-মা বলা মধুর ডাক,স্বমীর আদর এই সব কিছু।
হে নারী -
তুমি একবার ভাবো তোমার পৃথিবীটা কেন এতো শূন্য?
ধূ-ধূ মরুভুমির মতো, যে তোমাকে ভালবাসতো
যার বাহুডোরে দিয়েছো সতিত্ত্বের বিসর্জন-
এক সঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছো যুগ যুগেরও বেশি সময়,
সে আজ তোমার সমস্ত কিছু নিয়ে-
ছুরে ফেলেছে রাস্তায় ধূলার মতন।
শূন্য হাতে তোমাকে চলে আসতে হয়েছে.
তোমারি গড়া সংসার হতে ।
হে নারী -
তুমি আজ একা,নিঃশ্ব নির্মমতার সকল যন্ত্রনা
তোমাকে একাই বহন করতে হচ্ছে,
তুমি যেখানে যার কাছে আশ্রয় চেয়েছো-
সবাই তোমাকে বোঝা ভেবে ঠেলে দিয়েছে ধ্বংশের দিকে।
হে নারী -
সবাই যেটা ভাবছে সেটা তুমি ভুল প্রমান করে দাও
তুমি জেগে ওঠো,জাগিয়ে তোলো তোমার নারী সত্তাকে
তুমি পৃথিবীকে জানিয়ে দাও -
তুমি নারী,তুমি মমতাময়ী মা,তুমি প্রতিবাদী।
হে নারী -
তুমি স্মরন করিয়ে দাও -
মহাকালের প্রত্যেকটি দুর্যোগে পাশে ছিলে -
মায়ের মমতায়,বিদ্রোহী চেতনায়,ধের্য্যর শৈলচূরা হয়ে,
বিশ্ব সংসারে তোমার পদচারনা ছিল সর্বত্র বিরাজমান।
হে নারী -
তোমার হাতে রচিত হয়েছে এই বিশ্ব ইতিহাস -
তুমি তো সেই নারী,কাব্য সাধনায় মত্ত
রামায়ন খ্যাত কবি চন্দ্রাবতী।
তুমি তো সেই ঝাঁসিতে মানব কল্যানে মোহীত
আপন সত্তায় জেগে ওঠা নারী বীরত্বের প্রতীক লক্ষীবাই।
তুমি তো সেই নারী, যে দিল্লির সিংহাসনে বসে ভারতর্বষ
কাঁপানো সুলতানা রাজিয়া।
তুমি তো সেই নারী,মুনির চৌধুরির রক্তাক্ত প্রান্তরে -
সাহসী যোদ্ধা মুন্নু বেগ।
হে নারী -
তোমার স্পর্শে বিশ্ব সংসার পেয়েছে নতুন রুপ
পরিপূর্ণতা পেয়েছে তোমার মমতায়।
তুমি তো সেই নারী,বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত
‘জাগো-গো-ভগীনি’ স্লোগানে নারী মুক্তির
নতুন পথের জন্ম দিয়েছিলে অবরুদ্ধ বাংলার সমাজে।
তুমি তো সেই নারী,জল,স্থল দাঁপিয়ে পারি দিয়েছো -
আকাশে, শুধু মাত্র মমতায় নয় -
তোমার মেধা,মননশীলতা,ধের্য্য ও বিছক্ষনতা দিয়ে-
জয় করেছো এই বিশ্ব ভ্রমান্ড।
হে নারী -
তুমি চোখ খুলে দেখো,তোমার ছোঁয়ায় বর্লিন হয়েছে
তোমারি চারপাশ,
কেন তুমি অন্যর গলগ্রহ হতে চাও -
তুমিও পারো,তাই জেগে ওঠো,জাগিয়ে তোলো তোমার
ভিতরকার নারী সত্তাকে,যে সব করতে পারে।
মোঃ আল-আমিন শেখ
প্রভাষক (ইতিহাস)
দুর্গহাটা ডিগ্রি কলেজ,গাবতলী,বগুড়া।
Wow
ReplyDelete