বাংলাদেশের নারী- পুরুষের সমতা

নারী পুরুষের সমতা
একটি শিশু যখন জন্ম নেয় তখন সে এই পৃথিবীকে চিনতে শিখে তার চোখ দিয়ে, অনুভব করতে শিখে তার হাত দিয়ে, বুঝতে শিখে তার মন দিয়ে। আর আমাদের কিছু সামাজিক অবকাঠামো যা নির্ধারণ করে নীতি,নিয়ম, প্রথা,তা ধীরে ধীরে বদলে দিতে থাকে শিশুর মন এবং করে তুলে তাদেরই মতো করে।খেলার উপকরণ হিসেবে সবার প্রথম আমরা একটা শিশুর হাতে কি তুলে দেই?ছেলে শিশুর হাতে বন্দুক, পিস্তল, স্পোর্টস কার, বল, ব্যাট।
এই খেলনাগুলো তার ভিতর বোধ জন্মায় ক্ষমতার, দাপটের, প্রতিযোগিতার। সে সিনেমার নায়কের মতো অভিনয় করে খেলনা বন্দুক দিয়ে উড়িয়ে দেয় ভিলেনদের। সে কল্পনা করে ক্রিকেটারের মতো ঝাপ দিয়ে লুফে নিচ্ছে ক্যাচ। আর একটি মেয়ের হাতে তুলে দেয়া হয় পুতুল, পুতুলের ঘর, বিছানা, হাড়ি পাতিল। মেয়েটি পুতুলকে সাজায়,সন্তানের মতো আদর করে, তার বিয়ে দেয়, হাড়ি পাতিল দিয়ে সে রান্না করে।এভাবেই একটি ছেলে তৈরি হয় ভবিষ্যতের পৃথিবীতে সংঘর্ষ করে বেঁচে থাকতে আর মেয়েটি সংসারের একঘেয়ে চার দেয়ালের ভিতর প্রতিদিন একই কাজের পুনরাবৃত্তি ও সন্তান লালন পালন করে জীবন কাটিয়ে দিতে। এটাই হচ্ছে আমাদের সমাজ এবং সমাজ ব্যবস্থা,আমরা যতই দিন বদলের কথা বলি না কেন- দিন হয়তো ঠিক বদলাবে কিংবা বদলে যাচ্ছে কিন্তু সেই সাথে কি বদলাতে পারছি আমাদের মনুষ্যত্ব, আমাদের সংকির্ন চিন্তা ভাবনা গুলো। আমার মনে হয় পারছি না, পারলে হয়তো সমতার ব্যবধানে নিজেরা নিজেদেরকে দ্বিধার মধ্যে আটকে রাখতে পারতাম না। তবে যেটাই ভাবি না কেন? একদিন দ্বিধার ঝাপসা কুয়াশা কেটে নতুন সমতার সূর্য উঠবেই।

মোঃ আল-আমিন শেখ
প্রভাষক (ইতিহাস বিভাগ)
দুর্গাহাটা ডিগ্রি কলেজ, গাবতলী, বগুড়া।















2 Comments:

  1. অনুপ্রেরনা পেলাম ধন্যবাদ সুন্দর একটা লেখা শেয়ার করার জন্য...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনাকেও ধন্যবাদ।

      Delete